আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


বিশ্বমানের ভেন্টিলেটর তৈরি হলো বাংলাদেশে

দেশেই তৈরি হলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় জরুরি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন সরবরাহকারী যন্ত্র। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই কাজের সঙ্গে জড়িত ওয়ালটন ও মেডট্রনিকের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে এটিকে বিশ্বমানের একটি মডেল দাবি করে বলেন, এখন এটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করে ভেন্টিলেটর উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, এই সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বমানের জরুরি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ‘ভেন্টিলেটর’ তৈরি করে ফেলেছি, সেটি জানানোর জন্য। স্বল্প সময়ে ‘নির্ধারিত’ সময়ের মধ্যে সেই ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারায় ওয়ালটন ও মেডট্রনিককে ধন্যবাদ।’’
ভেন্টিলেটর সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন দেন ওয়ালটনের ভেন্টিলেটর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান গোলাম মোর্দেশ। এ সময় তিনি তিনটি মডেলের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ইতোমধ্যে ভেন্টিলেটরের তিনটি মডেলের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান পলক।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ সময় সংযুক্ত ছিলেন— আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী মো. লিয়াকত আলী, মেডট্রনিকের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ কোহিনুর সুলতানা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক তার পিবি ৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটর তৈরি করার জন্য কারিগরি সহযোগিতা দিতে সম্মত হয়। আইসিটি বিভাগের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশীয় ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ভেন্টিলেটর তৈরির কার্যক্রম শুরু করে।
মেডট্রনিকের পিবি ৫৬০ মডেলের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ওয়ালটনের তৈরি ভেন্টিলেটরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডব্লিউপিবি ৫৬০’। পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে আরও দুটি মডেলের ভেন্টিলেটরের নমুনা সংস্করণ তৈরি করেছে ওয়ালটন। অন্য দুটি মডেলের ভেন্টিলেটরের একটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ালটন কভিড ভেন্টিলেটর-২০২০’ বা ‘ডব্লিউসিভি-২০’। অন্যটির নাম ‘ডব্লিউএবি-২০২০।


Top